‘ইকো স্মার্ট সিটি’ নির্মাণ করবে ডিএসসিসি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/04/03/mayor-tapos.jpg)
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডকে আধুনিক আবাসন সুবিধার আওতায় আনার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রাজধানীর অন্যতম অবহেলিত এলাকা নাসিরাবাদে ‘ইকো স্মার্ট সিটি’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিএসসিসি’র মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস নগর ভবনে তাঁর কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমরা নতুন অন্তর্ভুক্ত ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে নাসিরাবাদ এলাকায় সব ধরনের আধুনিক সুবিধার সমন্বয়ে ‘ইকো স্মার্ট সিটি’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
মেয়র তাপস জানান, ডিএসসিসি এরই মধ্যে ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে কর্মরত ডেভেলপারদের নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, নোটিশ পাওয়ার পর থেকে তারা যেন কোনো জমি অধিগ্রহণ না করে।
১৮টি নতুন ওয়ার্ড হলো—৫৮, ৫৯, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ও ৭৫। এসব ওয়ার্ড শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, ডেমরা, মান্দা, দক্ষিণগাঁও ও নাসিরাবাদ ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় পড়েছে।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন—আধুনিক আবাসন নির্মাণের জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গার প্রয়োজন, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুরিয়ে আসছে।
মেয়র তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরের জন্য নতুন অভিজাত আবাসন সৃষ্টি করব। যাতে করে আধুনিক আবাসনের বিষয়গুলো যেভাবে সংকুচিত হচ্ছে, তা নিরসন হয়। আধুনিক আবাসনের জন্য যে সুযোগ-সুবিধাগুলো থাকার দরকার, যে উন্মুক্ত স্থান থাকা দরকার, যে নির্মল আনন্দ ও উপভোগের জায়গা থাকা দরকার, সে জায়গাগুলো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডে যে নতুন জায়গা পাওয়া গেছে, সেসব ওয়ার্ডের একটি বৃহৎ অংশে আবাসনের পরিবেশ তৈরি করব।’
মেয়র তাপস জানান, নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও আবাসনের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে নতুন সড়ক নির্মাণ ও বিদ্যমান সড়কগুলো মেরামত করে নতুন ওয়ার্ডের ৬৬২ দশমিক ৯১ কিলোমিটার সড়ক আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হচ্ছে।
পার্টিসিপেটরি র্যাপিড অ্যাপরাইজাল (পিআরএ)-এর অধীনে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি খেলার মাঠ, একটি পাবলিক টয়লেট, একটি পাঁচ তলা বিশিষ্ট সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র থাকবে, যেখানে একটি পাবলিক হেলথ ইউনিট, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়, জিমনেসিয়াম ও লাইব্রেরি সুবিধা থাকবে।
মেয়র তাপস আরও বলেন, জলাবদ্ধতা সমস্যা এবং মশার উপদ্রব নিরসনে গৃহীত উদ্যোগের পাশাপাশি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, ১৮টি নতুন ওয়ার্ডসহ ৭৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে একটি করে কাঁচা বাজার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, কারণ নগরবাসী যাতে তার নিজের ওয়ার্ড থেকে তাদের প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারে।
মেয়র তাপস বলেন, ওই এলাকায় খালের পাড় ঘিরে সড়ক ব্যবস্থাপনা চার লেন করা হবে। সেখানে দীর্ঘমেয়াদে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। কিছু কিছু খালে মানুষ যাতে জলযান ব্যবহার করে চলাচল করতে পারে, সে ব্যবস্থাপনাও করা হবে।
এ ছাড়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সাংসদদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ রয়েছে। কাউন্সিলরেরা এক কোটি টাকা পর্যন্ত কার্যক্রমের বরাদ্দ পান। কাউন্সিলরদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় বলেও জানান মেয়র।