ইতালিফেরত ১৪২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, আরো আসছে
ইতালি থেকে ফেরত আসা মোট ১৪২ জনকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই ইতালি-প্রবাসীরা আজ শনিবার সকালে রোম থেকে একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে তাদেরকে সরাসরি আশকোনার হজক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু দুপুরে স্বজনরা হজক্যাম্পের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেন এবং ইতালি-ফেরতদের নিজ নিজ বাড়িতে যেতে দেওয়ার দাবি করেন।
পরে রাতে তাদের সবাইকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন মো. মঈনুল আহসান।
সিভিল সার্জন রাত সাড়ে ৯টায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইতালির রোম থেকে বাংলাদেশে আসা ১৪২ জনকে তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার। সেই প্রক্রিয়ার কাজ আমরা শুরু করেছি। ওই প্রক্রিয়ার পথের আমাদের যে কাজগুলো আছে সেগুলো শেষ হলে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
‘পরিবার সিদ্ধান্ত নিবে, তাঁরা হজ ক্যাম্পে থাকবেন নাকি বাড়িতে থাকবেন। বাড়িতে গেলে সেখানে আমাদের যে উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা আছেন তারা তাদের দেখভাল করবেন। ১৪২ জনেই সবাই থাকবেন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন’, যোগ করেন মঈনুল আহসান।
এর আগে রাত সোয়া ৯টার দিকে হজক্যাম্পের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘... এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা মনে করি, আজকে রাতে তাদের বেশিরভাগই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাবেন। কেউ কেউ হয়তো নিরাপত্তার কারণে রাতের জন্য থেকে যেতে পারেন। দুপুরে তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে, রাতেও দেওয়া হবে।’
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি জানি, ৫৯ জন এসেছেন (ইতালি থেকে)। এই ৫৯ জনকে আমরা এখানে আনবো না। আমরা গাজীপুরে একটি মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) হোস্টেলে নিয়ে যাব। প্রশাসন সেখানে ব্যবস্থা করে রেখেছেন। এবং সেখানে তাদের একইরকমভাবে পরীক্ষা করা হবে। যদি তাদের মধ্যে কোনো সংক্রমণ পাওয়া না যায় তাহলে এখানে যেখানে তাদের পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে, ঠিক সেভাবেই তাদের ছাড়া হবে।’
‘দ্বিতীয়ত আমরা খবর পেয়েছি, আগামীকাল আরো ১৫৫ জন আসবে ইতালি থেকে। তাদেরও আমরা পরিকল্পনা করেছি এখানে নিয়ে আসব’, যোগ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি আরো বলেন, আগামীকাল সকাল সোয়া ৮টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ইতালি থেকে আরো ১৫৫ জন আসবেন বলে শুনেছি।’
মহাপরিচালক যখন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনি বিআরটিসির দুটি বাসে করে ইতালি ফেরত যাত্রীরা সেখানে নিয়ে আসা হয়।