ইভিএমের চেয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ : সিইসি
জাতীয় নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিংবা ব্যালট পেপার, কোনোটাতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নেই। এমনটি বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ইএমএফ) সঙ্গে বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা ইএমএফের আলোচনা শুনেছি। তাঁরা এসেছিলেন, জানলাম যে—আমাদের কাছে নিবন্ধিত ও ইভিএম নিয়ে যে পারসেপশন আছে, তার ব্যাখ্যা তাঁরা জানতে চেয়েছেন। নেগেটিভ যে পারসেপশন বিরাজ করছে, সেটাকে দূর করার জন্য তাঁরাও সচেষ্ট।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, এটা ডিপেন্ড করবে, যদি সরকার প্রকল্প অনুমোদন করে। এর যে আর্থিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেটা যদি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে যথার্থ মনে না হয়, সরকার এই প্রকল্প নিয়ে একমত নাও হতে পারে। তবে, আমাদের যে বিচার বিশ্লেষণ, প্রথমেই বলেছি, আমরা এসেই কিন্তু ইভিএম সমর্থন করিনি। দীর্ঘদিন সময় নিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে যন্ত্রটাকে বোঝার চেষ্টা করেছি এবং ব্যাপক আলোচনা করেছি, এতে ব্যাপক অংশগ্রহণ পেয়েছি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব বলে যে কথা উঠেছে, তার প্রমাণ কেউ দেখাতে পারেনি। ইভিএম দিয়ে হ্যাংকি সম্ভব নয়, এই ধারণাটাও ছিল না। কেননা, এটা একক মেশিন। আমরা তাঁদের বলেছি, আপনারা আপনাদের কাজ করে যান। ভোটার এডুকেশনের একটা প্ল্যান আমাদের আছে। সেটাও আমরা বাস্তবায়ন করব।’
সিইসি বলেন, আমরা যেটা চাচ্ছি, ইভিএম বা ব্যালট মূল কথা নয়। মূল কথাটা হচ্ছে সবাইকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং ওখানে ইভিএম থাকল, কি ব্যালট থাকল, সেটা বড় কথা নয়। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয় এবং ইফেক্টিভ প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি না হয়, ইভিএম কীভাবে বিহেভ করবে, ব্যালট কীভাবে বিহেভ করবে সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। ইভিএম, ব্যালটের প্রয়োজন পড়বে কি-না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। আমরা প্রথমেই বলেছি, আপনারা নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করুন। অংশগ্রহণ করে নির্বাচনটাকে ফলপ্রসূ করুন, যাতে নির্বাচনটা সুন্দর হয়, জনমানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।’
ইএমএফের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলীর নেতৃত্বে সংগঠনটির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়।