ইসি গণতন্ত্রের সিরিয়াল কিলার : ডা. জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) হচ্ছে সিরিয়াল কিলার।’ তিনি নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপকে ‘অন্যায় আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এই কমিশনকে সরিয়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদের এক গণ মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক সৈয়দ হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণস্বাস্থের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, বাংলাদেশ গণমুক্তি পাটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন প্রমুখ।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘কেবল তাই নয়, ৪২ জন সিনিয়র সিটিজেন পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছেন তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নায়, তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত।
সংবিধান কোনো পুঁথি নয়, সংবিধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ধর্মগ্রন্থের মতো পবিত্র জিনিস- এমনটা উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, ‘এটা কেন পবিত্র, কেন গুরুত্বপূর্ণ? কারণ এটা আমার অধিকারকে রক্ষা করে। আমার অধিকার কী? কিসের অধিকার? কে আমার দেশ চালাবে, সেটা নির্ণয় করার অধিকার। আমার ভোটের অধিকার। কেন ভোট দিতে হবে? ভোটের দ্বারা এমন একটা সরকার আনতে হবে যেই সরকার গণতন্ত্রের নীরব সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।’
ড. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, ‘কিন্তু আজকে আমরা কী দেখছি? এই নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে সরকার। যেই সরকার নির্বাচিত নয়। রাতের আঁধারে তারা আমলাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। পুলিশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। তাদের চুরি-ডাকাতি পৃথিবীর ইতিহাসে অনন্য। এইরকম ইতিহাস আর কোথাও নাই। প্রত্যেকে জানে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন ঘুমিয়ে থাকে।’
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘উনাদের যে মাহবুব সাহেব, ভালো কথা বলেছেন। কিন্তু উনি পদত্যাগ করেন না কেন? এই নির্বাচন কমিশনে উনি থেকে লাভ কী? একটা উদাহরণ সৃষ্টির জন্য আমি মাহবুব তালুকদারকে আহ্বান করছি পদত্যাগ করেন। দেশবাসী বুঝবে একজন হলেও প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আছে।’
গণস্বাস্থ্যের এই ট্রাস্টি আরো বলেন, ‘আজকে আমাদের সমবেতভাবে রাস্তায় নামতে হবে। আমরা একবার রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করে ভুলে যাই।’