ই-অরেঞ্জের সোনিয়া-মাসুক রিমান্ড শেষে কারাগারে
প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকী তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। তিনি ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে। কিন্তু তারা পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ বাদীকে গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও ই-অরেঞ্জ ডেলিভারি দেয়নি।