ই-অরেঞ্জ : পরিদর্শক সোহেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গ্রাহকের ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আজ শনিবার আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মাসুদ পারভেজ বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামে এক ব্যক্তি সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি দিয়ে গুলশান থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।’
মাসুদ পারভেজ আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে মামলাটি থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।’
এ মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নুরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খানকে আসামি করা হয়।’
এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আদালতে। আদালত বাদীর জবানবন্দি দিয়ে গুলশান থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেছি। মামলাটি তদন্ত করছি।’
নথি থেকে জানা গেছে, আসামিরা ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মচারী ও সহযোগী। তারা ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহ ও বিক্রি করে থাকেন। মামলার বাদী ও সাক্ষীরা প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য নগদ, বিকাশসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ও তারিখে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে ভাউচার গ্রহণ করে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রেতাদের নিজ নিজ ই-অরেঞ্জ অ্যাকাউন্টে বাদীসহ আম-মোক্তারনামা ১০ জন ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ১০২ টাকা টাকা প্রদান করেন। টাকা প্রদানের পর পণ্য না দিয়ে এই অর্থ আসামিরা আত্মসাত করেন।
মামলার এজাহার থেকে আরও জানা যায়, মামলার বাদী ও সাক্ষীরা পণ্য কেনার পর তাদের পণ্য সরবরাহ এবং ডেলিভারি প্রদান করেনি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছুদিনের মধ্যে মালামাল সরবরাহ করবে বলে জানায়। পরবর্তীতে বাদী ও সাক্ষীরা জানতে পারেন যে, ই-অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানটি তাদের মালিকানা পরিবর্তন করেছে।
এছাড়া, বাদী গত ২৮ এপ্রিল মামলার বাদী ও সাক্ষীরা বিভিন্ন সময়ে ই-অরেঞ্জ নামক প্রতিষ্ঠানের নিকট গতে পণ্য ক্রয় করে আসছেন। বাদী গত ১৮ আগস্ট থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।