উখিয়া সীমান্তে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, প্রায় আড়াই লাখ ইয়াবা জব্দ
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় মাদক কারবারীদের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের পর তল্লাশি চালিয়ে দুই লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল সোমবার বিকেলে উখিয়া সীমান্তের রাজাপালং ইউনিয়নের গোলডেবার পাহাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে, উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গতকাল বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ তিন রোহিঙ্গা মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক ব্যক্তিরা হলো—বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইস্ট ব্লক-বি/৬৩-এর বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম, ১০ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের ওবায়দুল্লাহ ও এক কিশোর।
কক্সবাজার-৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পরিচালক আমিনুল ইসলাম গতকাল সোমবার রাতে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) অধীনস্থ রেজুআমতলী বিওপির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে রেজুআমতলী বিওপির একটি চৌকস টহল দল উখিয়া উপজেলাধীন ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের গোলডেবার পাহাড় নামক স্থানে অবস্থান নেয়।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে ছয়জন ইয়াবা পাচারকারী বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় টহলদল কৌশলগত অবস্থান নিয়ে তাদের জানমাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে ইয়াবা পাচারকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় চোরাকারবারীরা তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ মাটিতে ফেলে দ্রুত পাহাড়ি গহীন জঙ্গলের মধ্যদিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।
পরে টহলদল চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক দুই লাখ ৪০ হাজার বার্মিজ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়, যার আনুমানিক মূল্য সাত কোটি বিশ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ইয়াবা, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ আটক তিন রোহিঙ্গা
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) শিহাব কায়সার খাঁন গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেন, পানবাজার ক্যাম্পের দায়িত্বরত জওয়ানেরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইস্ট ব্লক-বি/৬৩-এর বাসিন্দা আনোয়ারা বেগমের ঘরে অভিযান চালান। এ সময় ঘরের মেঝেতে নির্মিত সুড়ঙ্গে লুকানো অবস্থায় তিন লাখ ২৩ হাজার ৩৭৫ ইয়াবা সদৃশ ট্যাবলেট, দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকা, মিয়ানমারের মুদ্রা এক হাজার ২৩৫ কিয়াত ও ১৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ আনোয়ারা বেগম, ওবায়দুল্লাহ নামের এক যুবক ও এক কিশোরকে আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গা মাদক কারবারীদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।