ঋণের দায়ে বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ‘ঋণের দায় বাংলাদেশ দেউলিয়া হতে পারে। দেশের ঋণের পরিমাণ ১৬ লাখ কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে একই রাজনৈতিক বাস্তবতা। আগামীতে সুদসহ এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তখন দেশের অবস্থা ভয়াবহ হতে পারে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে জুরাইন রেলগেটে শ্যামপুর-কদমতলী থানা জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলটির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর স্মরণ সমাবেশে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনেক মিল। করোনাকালে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। আবার দশ বছর গৃহযুদ্ধ করেও দেউলিয়া হয়নি শ্রীলঙ্কা। শুধু ঋণের বোঝা টানতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা। আবার শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে একই রাজনৈতিক বাস্তবতা। আর এ কারণেই বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘দুটি দেশেই কোথাও জবাবদিহিতা নেই। এমন দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। দেশের জন্য রাজা পেতে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদগণ জীবন দেননি। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে জনগণের প্রতিনিধি পেতে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা প্রতিনিধি পাইনি। পেয়েছি জনগণের রাজা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নির্ভর বাজেট হয়েছে। বাজেটে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য ও বেকারত্ব কমাতে কোন বরাদ্দ নেই। গেলো বছরও লক্ষ্য অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় হয়নি। এবার লক্ষমাত্রা অনুযায়ী ট্যাক্স আদায় না হলে ঋণ করে কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা দিতে হবে। ব্যাংকগুলোতে টাকা থাকবে না। ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে দেশ।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলছে। সরকারের নজর নেই। আমরা বলেছি ভর্তুকি দিয়ে হলেও নিত্যপণের দাম সহনশীল মাত্রায় রাখতে হবে। মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশ থেকে। আমরা আর কোন মেগাপ্রকল্প চাই না। আমরা চাই, মানুষ যেন খেয়েপড়ে বাঁচতে পারে। মানুষ যেন হাসপাতালে গিয়ে সহজে সুচিকিৎসা পায়। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি গণমানুষের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করেছিলেন। যদিও পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের মতো উপজেলা ব্যবস্থা নেই। জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতা নেই উপজেলা ব্যবস্থায়।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হারুন অর রশীদ, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গোলাম মোস্তফা, খোরশেদ আলম খুশু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন দে, শরফুদ্দীন শিপু, অ্যাডভোকেট মো. আবু তৈয়ব, শেখ মাশুকুর রহমান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় সদস্য মাহবুবুর রহমান খসরু, শাহীন আরা সুলতানা রিমা, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান জুয়েল, সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন প্রমুখ।