ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রণীত ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নীতিমালার শর্ত পূরণ না করেও ঋণ আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক। এতে করে ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ হলো।
করোনাভাইরাসের কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ায় আইসিআরআর কার্যক্রম ব্যাহত ও গ্রহিতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় শিল্প ও সেবা খাতের আওতায় তাদের কার্যক্রম দ্রুত চালু করার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুবিধা দিতে আইসিআরআর সম্পন্ন না করেও ব্যাংক ঋণ দিতে পারবে। তবে প্রতিটি ব্যাংক বিদ্যমান নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণপূর্বক ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে।’
দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছার প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে ঋণের ঝুঁকি পরিমাপের নতুন নীতিমালা উদ্বোধন করেন গভর্নর ফজলে কবির। ইন্টারনাল ক্রেডিট রিস্ক রেটিং (আইসিআরআর) নামের ওই নীতিমালায় ঋণের পরিমাণ ও গুণগত উভয় ধরনের সক্ষমতার মূল্যায়ন শর্ত রাখা হয়।
আইসিআরআর নীতিমালা অনুযায়ী একজন গ্রাহককে এক্সিলেন্ট, গুড, মার্জিনাল ও আনএকসেপ্টেবল এই চার শ্রেণিতে ভাগ করবে ব্যাংকগুলো। কোনো গ্রাহক 'এক্সিলেন্ট' রেটিং পেলে ব্যাংক তাকে ঋণ দিতে পারবে। ‘গুড' রেটিং পেলেও ব্যাংক তাকে ঋণ দিতে পারবে। 'মার্জিনাল' রেটিংধারী গ্রাহককে পুরোনো ঋণ নবায়ন বা নতুন করে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ব্যাংককে। ‘আনএকসেপ্টেবল' রেটিংধারীকে কোনো পরিস্থিতিতেই নতুন ঋণ দিতে পারবে না ব্যাংকগুলো, যদি না আগের ঋণ শতভাগ নগদ পরিশোধ হয় অথবা জামানত দিয়ে ঋণটি আচ্ছাদন করা হয়।