‘এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকা ১৭ কোটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ’
করোনাভাইরাসের কথা বিবেচনায় রেখে এই মুহূর্তে একজন মানুষের যতোটা সম্ভব বাড়িতে থাকা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআরের সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা: মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই মুহূর্তে আপনার বাড়িতে থাকাটা আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য, আপনার বন্ধুদের জন্য এবং বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া যারা বিদেশ থেকে আসছেন অত্যাবর্ষকীয় না হলে বাড়ি থেকে বের হবেন না। বাইরে যাওয়ার খুবই প্রয়োজন হলে মাস্ক পরে যাবেন। আপনাদের ভেতরে যদি করোনার লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে বাড়ি থেকে বের না হয়ে আমাদের আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করেন।’
পরিচালক আরো বলেন, ‘এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি সচেতন হোন এবং অপরকে সচেতন করুন। কারো সঙ্গে হাত মেলানো ও কোলাকুলি থেকে বিরত থাকুন। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া সংক্রামক থেকে বাঁচতে আমাদের পক্ষ থেকে যেসব অনুরোধ করা হয়েছে সেগুলো মেনে চলবেন।’
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘গত ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। গতকাল যে সাতজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানে আমরা করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাইনি। তার মানে হচ্ছে, এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিনজন।’
আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত এই তিনজন বাদে হাসপাতালের আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নভাবে) আছেন আটজন। এই আটজন আক্রান্ত হয়েছেন এমন সন্দেহে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আমরা আরো চারজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। আইইডিসিআরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রান্ত সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ২৫ জন। ২১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত সেবা নিয়েছেন ২২৫ জন।’
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল দিয়েছেন দুই হাজার ৭৭৮ জন। গত ২১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত হটলাইনে মোট কলের সংখ্যা সাত হাজার ৭১০ জন। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু কল আছে মাস্ক কোথায় পাবেন বা তার পরীক্ষা করার দরকার আছে কি না-এসব সংক্রান্ত।’