একই দিনে বিএনপি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
নওগাঁয় বিএনপি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ একই দিনে একই সময় জনসভা করায় ঘোষণা দেওয়ায় সংঘাত এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, কর্মসূচি বানচাল করতে বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিস্থলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রশাসনের অসহযোগিতার প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বেলা ১২টায় এক লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে ২৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদার জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নওজোয়ান মাঠে এক জনসভার ডাক দেয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে প্রস্তুতি নেয়। পরবর্তীতে ওই দিন একই সময়ে আওয়ামী যুবলীগ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। বিএনপি পরর্তীতে শহরের এটিম মাঠে তাদের কর্মসূচি স্থানান্তর করে ঘোষণা দিলে ছাত্রলীগ সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ নামের আরেক কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর ফলে বিএনপির কর্মসূচি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিএনপির কর্মসূচিকে বানচাল করার লক্ষ্যে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নির্লজ্জ ফ্যাসিবাদী আচরণের পরিচয় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এটি সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ।’
এটিকে আগামী দিনের নওগাঁর রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের জন্য নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন হাফিজ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি পূর্বঘোষিত কর্মসূচি যথাস্থানে শান্তিপূর্ণভাবে পালন করবে। এতে কোনো অপ্রীতিকর অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রশাসন দায়ী থাকবে। আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনো অবনতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিএনপি তার দায়ভার নিবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট, এ জেড এম রফিকুল আলম রফিক, সাবেক সভাপতি নজমুল হক সনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, শফিউল আজম রানা ওরফে ভিপি রানাসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল ঠিক রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে নওগাঁর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এ আদেশ ২৭ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ৩টা থেকে ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে পৌর এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সভা, সমাবেশ ও দলবদ্ধ যেকোনো কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।