এবার রেলপথে ইটের খোয়া-বালু
দেশের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনাসহ রেলসেতুতে লোহার পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের খবর নতুন নয়। এবার প্রথমবারের মতো রেললাইনে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে কেওয়াটখালী লোকোশেড পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রেলপথে। এই পথে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পাথর সংকটের কারণে সরকারি নিয়ম মেনেই রেলপথ উঁচু করার জন্য ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাশে থাকা পাকা সড়ক ও দুপাশের বস্তির ময়লা-আবর্জনা ও পানি রেললাইনে এসে জমা হচ্ছে। এতে লাইন দেবে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবর্তন না করায় রেলপথে স্থাপিত কাঠের স্লিপার ভেঙেচুরে বিনষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে লাইনের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় পাওয়ার কার ও রিলিফ ট্রেন চলাচল দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছিল। তাই রেললাইন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
রেলওয়ে ময়মনসিংহের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান জানান, বর্তমানে ময়মনসিংহ রেল জোনের জন্য কোনো পাথর বরাদ্দ নেই। একদিকে ভারত থেকে পাথর আসে না, অন্যদিকে করোনার সময়ে মধ্যপাড়া থেকেও পাথর আসছে না। চাহিদাপত্র দিয়েও পাথর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইটের খোয়া আর বালু দিয়ে ভিত্তি তৈরি করে পথটিকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই পথে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা সাময়িক উদ্যোগ। সরবরাহ পাওয়া মাত্র দ্রুত পাথর দেওয়া হবে এই পথে।
ময়মনসিংহ রেলস্টেশন থেকে কেওয়াটখালী লোকোশেড পর্যন্ত রেলপথে কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে না। ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন থেকে কেওয়াটখালী লোকোশেডে ট্রেনের পাওয়ার কার চলাচল করে। এ ছাড়া ট্রেন কোথাও লাইনচ্যুত হলে কেওয়াটখালী থেকে রিলিফ ট্রেন চলাচল করে এই পথে। তাতেও যান ও জীবনের ঝুঁকি আছে। ফলে পাওয়ার কার ও রিলিফ ট্রেন ধীনগতিতে চলাচল করে।