নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একরাম চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, আমার বাড়ি কবিরহাট, এ জন্য আমি অনেক বেশি গর্ববোধ করি। এটা আমার হৃদয়। কবিরহাটের মানুষ ভোট দিয়েছে। আপনারা কিন্তু কবিরহাটের মানুষকে সে সম্মান দেখাচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত কি হবে আমি জানি না। তবে যদি আপনারা চান- আমি নোয়াখালী-৪ ও নোয়াখালী-৫ দুই আসন থেকেই নমিনেশন চাইব। জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিবেন। আমার কি মনে ইচ্ছে করে না, আমার নিজ এলাকার মানুষকে ভালোবাসি। আপনাদেরকে ভালোবাসার জন্য দিছি। কই আপনারো ভালোবাসা দিচ্ছেন না। আপনারা যদি আমাকে নমিনেশন নেওয়ার জন্য অনুমতি দেন, তাহলে আমাকে হাত তুলে দেখান।

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে একরাম বলেন, আপনাকে বাবার পরে স্থান দিয়েছি। কিন্তু আপনি তা ধরে রাখতে পারেননি। আপনার ভাইয়ের কথায় আপনি আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ দিলেন। আমাকে বাদ দেননি, সারা নোয়াখালী আওয়ামী লীগ পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছেন। আজকে যাকে তাকে আহ্বায়ক বানিয়ে দিয়েছেন। আহ্বায়ক হয়ে শুধু বহিষ্কার আর বহিষ্কার। আর কত বহিষ্কার করবেন।

একরাম চৌধুরী বলেন, কবিরহাটের মানুষ আমাকে নেতা বানিয়েছে। আমার কি অপরাধ। আমাকে এভাবে অপমানজনকভাবে সরানো হলো। আমি ২৬টা খুন করছি, আমার ছেলে অস্ত্র নিয়ে চলে। কে এটা বলছে আমি বলতে চাই না। অথচ এ দেশে বিচার নেই। কাদের ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ করি। আমি মাইকের সামনে কিছু বলব না। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হলো আপনার স্ত্রীকে যে অসৌজন্যমূলক কথাবার্তা বলা হয়েছে, এটার বিচারও কি বাংলাদেশের মানুষ পাবে না।

একরাম আরও বলেন, নিজ স্বার্থে যারা মিথ্যা কথা বলে বক্তৃতা দেয়। আমি মনে করি তাদের কাছে আর কবিরহাটের মানুষ যাবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জিহান, কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমিন বিএসসি প্রমুখ।