নোয়াখালীর সাংসদ একরামুলকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলার সদস্য পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আজ শনিবার কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের এ সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আলম সেলিম, শহীদুল্লাহ্ খান সোহেলও তিনি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ওই বৈঠকে তিনজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন মামুনুর রশিদ কিরণ, আয়েশা ফেরদৌস ও ফরিদা খানম সাকী।
জেলা আওয়ামী লীগের ওই সুপারিশে বলা হয়েছে, কবিরহাট উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরী। এ ছাড়া নোয়াখালী পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফর হায়দার লেলিনের পক্ষে প্রকাশ্যে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য ও অবস্থান নেওয়ার কথাও ওই সুপারিশে তুলে ধরা হয়।
গত বুধবার নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নে একরামুল করিম চৌধুরী নিজেকে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি দাবি করেন। এ সময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী হানিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি নৌকায় ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইফুল্লাহ খসরুকে ভোট দিতে বলেন।
আনারস প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে এমপি একরাম স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসেন বলে উল্লেখ করেন। তাঁকে বিজয়ী করতে প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের (নৌকার) লোকজনের হাত কেটে রেখে দিতেও তাঁর সমর্থকদের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে আজ একরামুলকে বহিষ্কার ও অব্যাহতির সুপারিশ করে জেলা আওয়ামী লীগ।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।