কমিউনিটি পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত
'বিশ্ব অবস্থা এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী আমরা বুঝতে পেরেছি যে আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়াতে হবে। আমরা কমিউনিটি পর্যায়ে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা জানতে চাই বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নের পরিস্থিতি কী। আমরা জানতে চাই, বাংলাদেশের গ্রামগুলোর পরিস্থিতি কী। আমরা জানতে চাই, শহরগুলোর পরিস্থিতি কী। আমরা সেজন্য পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার করে কমিউনিটি পর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করবো। আমরা বিভিন্ন শহরগুলো থেকে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করব। আমরা এর মাধ্যমে জানতে চাইব যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী। আমরা যদি এরকম পাই যে উপজেলায় কিংবা ইউনিয়নে একটিও করোনা আক্রান্ত রোগী নেই, তাহলে আমরা চাইব যাতে নতুন করে সেখানে সংক্রমণ না হয়। যদি সংক্রমণ পাওয়া যায় তাহলে সেখান থেকে যেন বাইরে না যায় সেদিকে আমরা নজর রাখব। সারা বাংলাদেশে যদি আমরা সে রকম একটি চমৎকার ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে আমরা দ্রুত করোনা মোকাবিলা করতে পারব। সেজন্য আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা প্রচুর বাড়ানো হবে।'
মহাপরিচালক বলেন, 'আমরা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ১৩-১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেব। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে অন্যান্য সব হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সের সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করব। প্রয়োজনে সবাইকে আমরা পিপিই সরবরাহ করব। আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেকটি জেলায় ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল তৈরি করতে।'
এদিকে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।