করোনাকালে মুক্তি পেয়েছেন ৫৫৫ কয়েদি, পাবেন ২৮৮৪
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে মোট দুই হাজার ৮৮৪ জন কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি দুই হাজার ৩২৯ কারাবন্দিকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে।
আজ সোমবার কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মোট দুই হাজার ৮৮৪ জন লঘু দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ভেতরে ৫৫৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এসব বন্দিরা সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এদের কারো সাজা প্রায় শেষের দিকে, কারো-বা অর্ধেক হয়েছে। আমরা চাচ্ছি, কারাগার ফাঁকা হোক। লঘু অপরাধী বয়স্করা মুক্তি পাক। এখন কারাগার যত ফাঁকা হবে তত ভালো।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এআইজি মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দেশের কারাগারগুলোতে মোট বন্দি আছেন ৮৮ হাজার ৭৫৪ জন। এই বন্দিদের ভেতর থেকে দুই হাজার ৮৮৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ১৭০ জনকে। গতকাল রোববার আর আজ সোমবার মিলিয়ে ৩৮৫ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বন্দি ছিল ২৯ জন। মুক্তির তালিকায় থাকা বাকি বন্দিরা দ্রুতই মুক্তি পাবেন।’
মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘বাকি দুই হাজার ৩২৯ জনের তালিকা সংশ্লিষ্ট ডিআইজি অফিস হয়ে অধীনস্থ কারাগারগুলোতে যাবে। তাই নির্ভুল মুক্তি প্রদানের স্বার্থে প্রক্রিয়াগত কারণে কিছুটা সময় লাগছে। তবে তারা দ্রুতই মুক্তি পাবে। তিন মাসের অধিক হতে ছয় মাস পর্যন্ত সময় সাজাভোগী কয়েদিদের মুক্তি প্রদানের তালিকা অধীনস্থ কারাগারগুলোতে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা ডিভিশনের বন্দি আছে ১১৯ জন।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার লাভলু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কারা অধিদপ্তর হয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট বন্দি মুক্তির দুটি তালিকা এসেছে। প্রথমে ১০ জনের একটি তালিকা এসেছিল। তারপর আরো ৪১ জনের আরেকটি তালিকা এসেছে। এই মোট ৫১ জন থেকে ৪৩ জনকে এরই মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
ডেপুটি জেলার আরো বলেন, ‘মুক্তি দেওয়া এই ৪৩ জনের বেশিরভাগই ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাপ্রাপ্ত।। তালিকায় নাম থাকার পরও জরিমানার টাকা বাকি থাকায় মোট আটজনকে এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। এদের মধ্যে একজনের কাছে জরিমানার পাঁচ লাখ এবং আরেকজনের কাছে তিন লাখ টাকা বকেয়া আছে।। এ ছাড়া একজনের কাছে ১০ হাজারসহ পাঁচজনের কাছে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানার টাকা বাকি আছে।। এদের জরিমানার টাকা শোধ করতে বলা হয়েছে।। কেউ পরিশোধ না করলে অনাদয়ে যত দিন করে জেল খাটার কথা আছে তত দিন খাটবেন।’