করোনা আক্রান্ত শনাক্তে আরো টেস্ট চান রিজভী
সরকারের ব্যর্থতা, সমন্বয়হীনতা ও প্রস্তুতির অভাব দেশকে বড় বিপদে ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বারবার বলে আসছে, করোনা আক্রান্তদের শনাক্ত করতে যত বেশি সম্ভব পরীক্ষা করতে হবে, যত বেশি আক্রান্তের সংখ্যা জানা যাবে, তত তাড়াতাড়ি আইসোলেশনে রাখা যাবে। তাতে কমবে সংক্রমণের মাত্রা। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরীক্ষার সুযোগ না থাকায় দিন দিন বাড়ছে ঝুঁকি। সরকার বাসা থেকে রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার কথা বললেও তার কোনো অগ্রগতি নেই। পুরো ব্যবস্থাপনা হলো—পানিতে হালবিহীন নৌকার দুরবস্থা যেমন।’
রিজভী আরো বলেন, ‘বিপদ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি নেই, সমন্বয় নেই, আক্রান্ত রোগী শনাক্তকরণের পর্যাপ্ত উপকরণ ও ব্যবস্থাপনা দেশে নেই। নেই চিকিৎসকদের রক্ষার ব্যবস্থা; নেই যথেষ্ট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও ভেন্টিলেটর।’
আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে টানা দুদিন বলা হচ্ছে, দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত নেই। অথচ পত্রপত্রিকা, টেলিভিশনসহ মিডিয়ায় প্রতিদিন সর্দি, জ্বর, কাশিতে মারা যাওয়ার খবর দিচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে বর্তমান সরকারের পলিসি জনগণের কাছে একদম পরিষ্কার। নো কিট, নো করোনা। নো টেস্ট, নো করোনা। নো পেশেন্ট, নো করোনা।’
অবিলম্বে দেশের সব জায়গায় বিনামূল্যে টেস্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কিটসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ ও তার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘কিট তৈরির কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে দ্রুত খালাস ও কর মওকুফের ব্যবস্থা করতে হবে। কোয়ারেন্টিনের জন্য ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে বড় হোটেল-মোটেল-রিসোর্টসহ উপযোগী ভবনগুলো অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, খালি ভবনে অস্থায়ী হাসপাতাল করতে হবে। ডাক্তার-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপদ পোশাক ও প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করতে হবে।’
খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে ২০ শতাংশ, অর্থাৎ তিন কোটি ৪০ লাখ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এর মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষের অবস্থান অতিদারিদ্র্যসীমার নিচে। তাদের কাছে খাদ্য সাহায্য পৌঁছে দিতে হবে।