করোনা লুকিয়ে নিজের ও পরিবারের ক্ষতি করবেন না
করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে বলেছেন, করোনাভাইরাস এখন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। সে তুলনায় সবার সম্মিলিত প্রয়াস ও জনসচেতনতার কারণে আমরা এ ভাইরাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা কোনো লুকোচুরির বিষয় নয়। কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তিনি যেন এটি গোপন না করে সাথে সাথে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা নেন। এটি গোপন করে তিনি যেন নিজের ও পরিবারের ভয়াবহ ক্ষতি না করেন। সবার প্রতি এটিই আমার বিশেষ অনুরোধ। সারা দেশের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে করোনা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী সব জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে এই ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।
এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশেও করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা শুরু থেকেই এ বিষয়ে সচেতন ছিলাম। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগণের মধ্যে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছে। এ জন্য আমি তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টানা ছুটির কারণে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর অনেকেই কষ্টে আছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে এসব মানুষের তালিকা করে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য সহায়তা প্রদান ও তালিকা তৈরির কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা নিলে সঠিক তালিকা তৈরি সম্ভব হবে। জনপ্রতিনিধিরা যেহেতু জনগণের সঙ্গে থেকে কাজ করেন, তারা বিষয়টি ভালো করতে পারবেন। কেউ যাতে বারবার না পান আবার কেউ যাতে একেবারেই বাদ না যান, এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ ছাড়াও ১০ টাকা কেজি দরের চাল প্রদানসহ সরকারের অন্যান্য খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ রয়েছে। অহেতুক দাম বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার সুযোগ নিয়ে কোনো অসাধু ব্যক্তি যাতে কোনো ধরনের অঘটন ঘটাতে না পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।