কাঠগড়ায় যেমন ছিলেন পরী মণি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে তাঁদের হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন দুপুর ১ টা ৫২ মিনিটে কড়া পুলিশি পাহারায় পরী মণিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরী মণিকে আদালতে হাজির করার পরে তাঁর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী তাঁর সঙ্গে মামলার বিষয়ে কথা বলতে যায়।
এ সময় সিআইডির নারী পুলিশ সদস্যরা পরী মণির সঙ্গে কথা বলা যাবে না জানিয়ে আইনজীবীদের জানান এবং পরী মণিকে ঘিরে রাখেন। এরপরে বিচারক আদালতে উঠলে পরী মণি মাথায় দুই হাত দিয়ে কাঠগড়ার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এরপরে অন্য আসামিদের রিমান্ড শুনানি হলে পরী মণি কাঠগড়ায় একপাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় গরম লাগলে তিনি তাঁর হাত দিয়ে নিজের শরীরে বাতাস করেন এবং আদালতের এজলাসের ছাদের দিকে তাকিয়ে তাকেন। তখন তাঁকে খুব বিষন্ন দেখাচ্ছিল।
পরে পরী মণিকে আদালত থেকে বের করার সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারা তদন্ত করেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’
এরপর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় পরী মণিকে আদালত থেকে বের করে নেন।
এর আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক মো. নজরুল ইসলাম রাজ ও তাঁর ব্যবস্থাপক সবুজ আলীকে মাদক মামলায় দুই দিন ও পর্নোগ্রাফির মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। উভয় মামলায় তাঁদের মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চিত্রনায়িকা পরী মণিসহ সবাইকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়।
গত ৪ আগস্ট রাজধানী বনানীর দুটি বাসা থেকে পরী মণি, রাজসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।