কাপড়ের মাস্ক করোনা প্রতিরোধে সহজ সমাধান : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাস্ক অত্যাবশ্যক। সাধারণ কাপড়ের মাস্ক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সহজ একটা সমাধান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলার মাধ্যমে এ রোগের সংক্রামক ঘটাতে পারে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘কিন্তু একটা সাধারণ কাপেড়র মাস্ক ব্যবহার করে কাশি, হাঁচি বা জীবাণু ছড়ানো থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারি। তবে যাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা আছে; বা অজ্ঞান বা অক্ষম বা মাস্ক খোলার জন্য অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হয় তারা এ কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারবেন না।’
‘তবে সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু ডাক্তার আর নার্সদের জন্য। যারা রোগীর সংস্পর্শে আসেন তাদের জন্য। সাধারণ মানুষ সবাই কাপড়ের মাস্ক পরিধান করবেন। এর সুবিধা হলো পরিধানে আরামবোধ হয়, নাকমুখ ঢাকা থাকে। তবে কাপড়ের একাধিক স্তর থাকতে হবে। এবং বাঁধাহীন ভাবে ব্যবহার করা যায়। কাপড়ের মাস্কের সুবিধা হলো এটি ধুয়ে পরিষ্কার করে আবার ব্যবহার করা যায়। মাস্কের পাশাপাশি সবাইকে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।’
আজকের বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জন মারা গেছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭০৯ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো দুই হাজার ৯১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে ৫২ হাজার ৪৪৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ মঙ্গলবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৭৯৭ জনে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৩০ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৫ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৩ হাজার ৪০৫ জন (২ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ লাখ ২০ হাজার ৯৫৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।