কারওয়ানবাজারে খুচরা বিক্রি বন্ধ
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী এবং তাদের কর্মীরা মিলে মোট ছয়জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছে। এর পরই বাজারটিতে বন্ধ করে দেওয়া হলো খুচরা বিক্রি। এখন থেকে কারওয়ানবাজারে পাইকারি ছাড়া আর কিছুই বিক্রি করা যাবে না বলে বাজার সমিতিকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত খন্দকার এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কারওয়ানবাজারে মোট ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরা স্থানীয় আড়তদার ও আড়তের কর্মী। সারা দিন এখানে পুরো শহর থেকে প্রয়োজনীয় কাঁচামালসহ নানা জিনিস কিনতে আসে ক্রেতারা, যেটা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এখন থেকে আর কিনতে আসতে পারবে না। কারণ, বাজারে এখন থেকে আর পাইকারিভাবে ছাড়া খুচরা বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।’
হাসনাত খন্দকার আরো বলেন, ‘বাজার তো একেবারে বন্ধ করে দেওয়াটা মুশকিল। কারণ, সারা শহরের খুচরা বিক্রেতারা এখানে পাইকারি জিনিস কিনতে আসে। তাদের আসতে না দিলে মানুষ তরকারি পাবে কোথায়? সেজন্য আমরা স্রেফ পাইকারি বিক্রি ব্যবস্থা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার বাইরের জেলা থেকে যেসব ট্রাক কারওয়ানবাজারের আসে সেসব গাড়িকে রাত ১টার পর আর বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ঢাকার বাইরের ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে রাত ৩টার ভেতর সব ধরনের পাইকারি বিক্রি শেষ করতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানের যেসব খুচরা বিক্রেতা এখানে পাইকারি কিনতে আসে তাদের সকাল ৭টার ভেতর সব ধরনের কেনাকাটা শেষ করতে হবে। আর মাছ বিক্রেতা এবং আড়তদাররা ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবে।’
ওসি হাসনাত খন্দকার আরো বলেন, ‘এরপর কারওয়ানবাজারে আর কোনো লোক থাকবে না। হবে না কোনো ক্রয় কিংবা বিক্রয়। কেউ জটলা পাকালে আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের কথা বাজার সমিতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাও সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে আমরা আশা করি।’