কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, ইমামসহ গ্রেপ্তার ২
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে একাধিবার ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার গত সোমবার পুঠিয়া থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত ইমাম ইয়াকুব আলী (৩৫) ও তার সহযোগী আবদুল আলীমকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
উপজেলার নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ইয়াকুব আলী নরসিংদী জেলা সদর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তাঁর সহযোগী আবদুল আলীমের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মহির উদ্দীন বলেন, ‘ইমাম ইয়াকুব আলী প্রতিদিন সকালে গ্রামের শিশু-কিশোর ছেলেমেয়েদের আরবি পড়াত। তার কাছে আরবি পড়তে আসা ওই কিশোরীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম মসজিদের খাস কামরায় তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।’
‘একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে এক মাস আগে ইয়াকুব আলী গোপনে ওই মেয়েটির গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি মেয়েটির পরিবার গ্রামের মুরব্বিদের অবহিত করলে ছয় দিন আগে একটি সালিশে ইমামকে ওই মেয়েটির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দুই লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ইমাম ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো ওই পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। পরে মেয়েটির পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে,’ বলেন মহির উদ্দীন।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ইমামসহ তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতে ওই ইমামসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। ইমামের আরেক সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।