কুষ্টিয়ায় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে আরো একজন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একই পরিবারের নিহত তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন নড়াইল জেলার পক্ষীপাশা এলাকার অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মফিজ উদ্দিন, তাঁর স্ত্রী আরবি খাতুন, ছেলে ইফাদ (২৭) ও অ্যাম্বুলেন্সের চালক টিপু সুলতান ।
এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট ওয়াহিদ। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইফাদ নামের যাত্রীবাহী অ্যাম্বুলেন্স কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজারের পাশে একটি মাইক্রোবাসকে সাইড দিতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে পাঁচ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার কাজ চালায়। এক নারীসহ পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
সার্জেন্ট ওয়াহিদ জানান, মাত্র একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল ৪টার দিকে উদ্ধার অভিযান শেষ হয়। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি সরিয়ে দেওয়ার পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আহত ব্যক্তিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ও ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের মৃতদেহ একই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত অ্যাম্বুলেন্সের চালক টিপু সুলতানের মেয়ে জানান, অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মফিজ উদ্দিনের স্ত্রী আরবি খাতুন মানসিক রোগী। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স করে বাড়িতে আনতে পাবনা থেকে রওনা হন তাঁরা।