‘কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় বাড়লে খেসারত দিতে হবে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘গ্যাস-তেলের দাম বাড়ায় কৃষি উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাবে। এই কৃষিপণ্যের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেলে এর খেসারত সবাইকে দিতে হবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
‘বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একদিন ক্ষমতায় থাকলে যে ক্ষতি হয়, তা দুই বছরেও পূরণ করা যাবে না’ বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তেই এ সরকারকে পদত্যাগ করিয়ে, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কারণ, যারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় না, তাদের জনগণের প্রতি কোনো দরদ থাকে না।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘গ্যাস-তেলের দাম বাড়ায় কৃষি উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাবে। এ কৃষিপণ্যের উৎপাদনের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে, এর খেসারত সবাইকে দিতে হবে। যেমনটা বর্তমানে বাজারে চালের দামসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। আজকে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধিই প্রমাণ করে, দেশে দ্রব্যমূল্য এক লাফে উঠে গেছে। আজকের এ ব্যথা বিএনপির ব্যথা নয়, এটা জনগণের ব্যথা।’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লক্ষ্য করবেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী নাই। অথচ গতকাল ছয়/সাত জন মারা গেছে। জোর করে মনোনয়ন পত্র কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ঘর-বাড়িছাড়া করছে। এখন বিএনপি থাকলে অবস্থা কী হতো!’
‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টসহ সব কিছুর উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে’ উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সাংবাদিক বন্ধুরাসহ মানুষ বেকার হচ্ছে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশে মানুষের কোনো অধিকার নেই। এখান থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন এ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। বর্তমান সরকারের একটা ভয়, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে গ্রামে গ্রামে ব্যানার লাগিয়েও আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম মাস্টার, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলার মফিজুল রহমান পলাশ, ছাত্রদলের রবিউল ইসলাম অমিত, তমিজ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।