কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শূন্য পদ পূরণ হচ্ছে ‘কাল বা পরশু’
আগামীকাল শনিবার অথবা পরের দিন রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শূন্য পদ পূরণ হতে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সংগঠনে দক্ষ নেতৃত্ব নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু করোনার অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য সবকিছু থমকে গিয়েছিল। যার কারণে আমরা আমাদের সংগঠনের শূন্য পদগুলো পূরণ করতে পারিনি। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এখন আমরা শূন্য পদগুলো পূরণ করব। এ বিষয়ে আমরা একটি তালিকা করেছি। আশা করি, আগামীকাল কিংবা পরশু আমরা আপনাদের জানাতে পারব।’
শূন্য পদে কাদের রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাচাই-বাছাই করে সাংগঠনিকদেরই জায়গা করে দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আমরা সব সময় সংগঠনকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করেছি। শূন্য পদ পূরণে বিতর্কিত, অনুপ্রবেশকারী, সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন, মাদকাসক্ত, গুরুতর মামলার আসামিদের স্থান ছাত্রলীগে নেই। আমরা দক্ষ, পরিশ্রমী, যোগ্য এবং মাঠে থাকা কর্মীদের নেতা হিসেবে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩৩ নেতাকর্মীকে নানা অভিযোগ ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যক্রমের কারণে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বর্তমান কমিটিতে আরো ২০টি পদ শূন্য রয়েছে।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বহিষ্কার করা হয় ২১ জন পদপ্রাপ্তকে। বহিষ্কার হওয়া পদপ্রাপ্তরা হলেন সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া, আরেফিন সিদ্দিক, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির, সাদিক খান, সোহানী হাসান, মুনমুন নাহার, আবু সাঈদ, রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপদপ্তর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আবদুল্লাহ বিন মুন্সী, সংস্কৃতিবিষয়ক উপসম্পাদক বি এম লিপি আক্তার ও আফরিন লাবণী, সহসম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।
এর বাইরে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন সহসভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান, আমিনুল ইসলাম, বি এম শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান, এস এম হাসান আতিক, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপসম্পাদক রাতুল সিকদার ও শাফিউল সাজীব, উপপ্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন, পাঠাগারবিষয়ক উপসম্পাদক রুশী চৌধুরী ও সহসম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে।
এর বাইরে বিয়ে করার কারণে সহসভাপতি ইশরাত কাশফিয়া ইরা, সুরঞ্জন ঘোষ ও ফাহাদ হোসেন তপুকে, চাকরিতে যোগদান করায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম, উপগ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজমুস সাকিব, উপসমাজসেবা সম্পাদক তৌকির আহম্মেদ তপু, সহসম্পাদক পদে সাঈদ খান শাওনসহ ও উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বীকে এবং যুবলীগে যোগদান করায় তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে শাকিল আহম্মেদ জুয়েল বাবুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে তাঁদের বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি বা নোটিস দেয়নি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।