কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, কাদের মির্জার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে তাসিক মির্জাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার মূল ফটকের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই সংঘর্ষ ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ শেষে জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের পর নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পরিদর্শককে প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের প্রত্যাহার করা না হলে জনগণকে নিয়ে রাস্তায় নামব।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে তাসিক মির্জার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
এ ছাড়া কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি, ওসি-তদন্ত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আজ আমাদের পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।’
স্থানীয়রা জানান, একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০ থেকে ২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জাবিরোধী স্লোগান নিয়ে বসুরহাট পৌর কার্যালয়ের দিকে যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে মিছিলটি উপজেলা গেটের দিকে ফিরে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাসিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সমর্থক থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষ একে-অপরকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।