দলের প্রয়োজনে নিজের মার্কিন ভিসা জ্বালিয়ে দেবেন, বললেন কাদের মির্জা
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, তার মার্কিন ভিসা রয়েছে। দলের প্রয়োজনে সাংবাদিক ডেকে সেই ভিসা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেবেন তিনি। গতকাল বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের বলেন, কানাডার আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল বিএনপির জন্য বিবৃতি দেয় আমেরিকা। কিন্তু, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনো কথা বলে না। তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন লোদে (কাদায়) আটকে গেছে। তারা ২৯ জুলাই আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে আবার অ-আ থেকে শুরু করেছে, ও-ঔ পর্যন্ত যেতে যেতে দেশে নির্বাচন হয়ে যাবে। তাদের (বিএনপি) নিয়ে চিন্তা করার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনি টাকার বাহাদুরি দেখান? দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তারা আপনাকে টাকা দেয়। এবার আপনাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। কারণ, আপনি যে হারে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছেন, এতে নির্বাচনে না গেলে ওদের টাকাও ফেরত দেবেন না। ফলে, মনোনয়ন না পেলে ওই নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তখন মুসলিম লীগে পরিণত হবে বিএনপি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘যে নেতা ১৪ বছর কারাগারে দিন কাটিয়েছেন, যে নেতা তিনবার ফাঁসিরকাষ্ঠে গিয়েও বাঙালি জাতির জয়গান গেয়েছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে এবং তার দলের কর্মীদের কেউ ভিসানীতির ভয় দেখিয়ে, রক্তচক্ষু দেখিয়ে কিংবা কেউ আগুনসন্ত্রাস করে দমাতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে কাদের মির্জা বলেন, “আগস্ট মাসে আট বিভাগীয় শহরে আপনার নেতৃত্বে আটটি শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। এতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তিসহ সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবীরা অংশগ্রহণ করবে। যার প্রতিপাদ্য হবে, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’। এতে দলের ভীত আরও মজবুত হবে। সামনের নির্বাচনে দল হবে শক্তিশালী। কিছু কিছু মন্ত্রী-এমপি আছে যারা এলাকায় যান না। দলের তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নিজের এলাকায় কত টাকার উন্নয়ন হয়েছে, সেটাও জানেন না। তারা মনোনয়ন পেতে ঢাকায় ঘুরঘুর করছেন। এ ধরনের এমপিদের মনোনয়ন দেয়া ঠিক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বিদেশ থেকে হঠাৎ করে এসে মনোনয়ন পান। যাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগাযোগ নেই। তাদের এভাবে মনোনয়ন না দিয়ে ১০টি আসন প্রবাসীদের জন্য সংরক্ষিত করার প্রস্তাব করছি। অন্যদিকে, যে আসনে যাকে পছন্দ তাকে তাকে এখনই সিগন্যাল দিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। যাতে এখন থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।’ এ ছাড়া নেতাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রত্যেক জেলায় এক বা দুজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। যাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সামনের নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলেও মতপ্রকাশ করেন।