গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণ অপরিহার্য : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,সময়ের অনিবার্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাগজ ও টিভিভিত্তিক গণমাধ্যমসমূহের ডিজিটাল প্রকাশনা অপরিহার্য। ডিজিটালাইজেশনের কারণে অনলাইন ভার্সন এখন জাতীয় গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ অনলাইনে তা পড়তে পারছে। আমাদের গণমাধ্যমসমূহ খুবই গুরুত্বের সঙ্গে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করা শুরু করেছে। করোনাকালে এর প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে ।
মন্ত্রী গতকাল শুক্রবার রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে তাঁর ঢাকায় বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভৈরব প্রেসক্লাবে আয়োজিত ভৈরব থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক জনপদ’ পত্রিকার অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, অনলাইন পত্রিকা সারা পৃথিবীর পাঠকদের কাছেই জনপ্রিয় এবং দিনদিন তা বাড়ছেই। করোনাকালে গৃহবন্দি জীবনযাপনের বর্তমান পরিস্থিতিতেও সংবাদপত্র প্রকাশনা মানুষের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তির অভাবনীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে। ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়া সমানভাবেই তা করছে। অনেক চ্যানেল নিজেদের মিডিয়ার পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে টকশো করছে। সাক্ষাৎকার প্রচার করছে। ডিজিটাল যুগে বসবাস করে ডিজিটাল মাধ্যম আমাদের ব্যবহার করতেই হবে, এটাই সত্য।
কম্পিউটারে বাংলা হরফে পত্রিকা প্রকাশনার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৮৭ সালে সীসার হরফ বাদ দিয়ে কম্পিউটারে বাংলা হরফে আনন্দপত্র পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে কম্পিউটারে বাংলাপত্রিকা প্রকাশনার যাত্রা শুরু হয়। সে সময় কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশের আমার উদ্যোগটি নিয়ে বন্ধুমহলসহ বিজ্ঞজনদের অনেকেই ঠাট্টা-তামাশাও করেছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু ৯৩ সালের মধ্যে ঢাকাসহ মফস্বল পত্রিকাগুলো কম্পিউটারে প্রকাশের মাধ্যমে হাস্য-ঠাট্টার জবাবটি দিতে আমি সক্ষম হয়েছিলাম। ভৈরবের মতো একটি উপজেলা থেকে গত ১৪ বছর ধরে সাপ্তাহিক জনপদ পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রী পত্রিকাটির সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফারুককে ধন্যবাদ জানান।
সাপ্তাহিক জনপদ পত্রিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, মো. রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, র্যাব-১৪ ক্যাম্পের ডেপুটি কম্পানি কমান্ডার চন্দন দেবনাথ বক্তব্য দেন।