গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ব্লু-ওয়াইল্ডবিস্টের ঘরে নতুন অতিথি
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আফ্রিকা মহাদেশের প্রাণী ব্লু-ওয়াইল্ডবিস্টের নতুন শাবকের জন্ম হয়েছে। আজ সোমবার পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার সকালে পার্কের কোর সাফারি অংশের আফ্রিকান সাফারিতে মা ওয়াইল্ডবিস্টের সঙ্গে নতুন শাবককে দেখা যায়। নতুন শাবকসহ পার্কে ওয়াইল্ডবিস্টের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪টিতে। তবে নতুন শাবকটি মাদি না পুরুষ, তা জানা যায়নি।
পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার মো. সরোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পূর্ণবয়স্ক ব্লু ও ব্ল্যাকসহ বিভিন্ন জাতের ওয়াইল্ডবিস্ট এ পার্কে আনা হয়। এ প্রাণিগুলোকে আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বিচরণ করতে দেখা যায়। এরা দলবদ্ধভাবে তৃণভূমিতে একসঙ্গে চলাফেরা করে থাকে। প্রতিটি বাচ্চার ওজন হয় সাধারণত ১৯ কেজির মতো। প্রথমে বাচ্চাদের গায়ের রঙ ধূসর (টনি ব্রাউন) এবং পূর্ণ বয়স্ক হলে তার বর্ণ হয় নীলাভ ধূসর। প্রতিবার এরা সাধারণত একটি করে বাচ্চা প্রসব করে থাকে। আট মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এরা মায়ের সঙ্গে থাকে এবং দুধ পান করে। এক সপ্তাহ পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘাস খেতে চেষ্টা করে। পরে তারা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে থাকে। এরা ছোট ঘাস খেতে বেশি পছন্দ করে। পুরুষ বাচ্চারা দুই বছর এবং মাদি বাচ্চারা ১৬ মাসে প্রজননক্ষম হয়।’
প্রাকৃতিক পরিবেশে ব্লু ওয়াইল্ডবিস্ট ২০ বছর এবং আবদ্ধ পরিবেশে ২৪ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রসবের কয়েক মিনিট পর শাবকটি উঠে দাঁড়ায় এবং দৌঁড়াতে শুরু করে। শাবকটি এখন আফ্রিকান সাফারিতে মায়ের সঙ্গে খেলা করে বেড়াচ্ছে, দৌঁড়াচ্ছে। মানুষ দেখলে তারা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাউকে তাদের কাছে যেতেও দেওয়া হচ্ছে না।’
তবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘ওয়াইল্ডবিস্টের প্রজননে পার্কে আশার সঞ্চার হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে ওয়াইল্ডবিস্ট আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে।’