গোপালগঞ্জে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে তোলপাড়

ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে গোপালগঞ্জ পুলিশ বিভাগে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে আটক মাছচাষি বোরহান উদ্দিন শেখকে (৪৫) ছেড়ে দিয়েছে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ।
গোপালগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গোপালগঞ্জ পাঠানো হয়। গত শুক্রবার রাতে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে বোরহান উদ্দিন শেখ নামের এক ক্ষুদ্র মাছচাষিকে গোপালগঞ্জ শহরের মিয়াপাড়া থেকে আটক করে পুলিশ। বোরহান উদ্দিন শেখ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল বশার শেখের ছেলে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার জি.আর ১১৫/১৮ নম্বর মাদক মামলার ওই ওয়ারেন্টে হত্যা মামলার ধারা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্টে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ ওয়ারেন্টের সত্যতার বিষয়টি যাচাই করতে সাতক্ষীরা আদালতে গতকাল শনিবার একটি চিঠি পাঠায়। চিঠির উত্তরে জানানো হয়, সাতক্ষীরার আদালত থেকে এ ধরনের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়নি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় যে আদালতের সিল ও স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। কোর্ট রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করেও এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানার হদিস মেলেনি। তাই এ পরোয়ানাটি ভুয়া বলে সাতক্ষীরা আদালতের সদর কোর্টের জিআরও এএসআই মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। এ চিঠি পেয়ে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশ বোরহান উদ্দিনকে গতকাল শনিবার রাতে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বোরহান উদ্দিন শেখের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, ‘পারিবারিক শত্রুরা এমন করেছে। আমাদের পরিবারকে এমন সম্মানহানি ও হয়রানির বিচার চাই।’
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাতক্ষীরার আদালত থেকে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গোপালগঞ্জ পুলিশের হাতে এসে পৌঁছানোর পরবর্তীতে দেখা গেছে, সেটি ভুয়া। পরোয়ানাটি কারা পাঠিয়েছেন এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’