ঘরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ : একদিনের ব্যবধানে মা ও মেয়ের মৃত্যু
ফেনী শহরের একটি ভবনে গত শুক্রবার রাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়েছিলেন মেহেরুননেছা লিপি, তাঁর দুই মেয়ে কলেজছাত্রী ফারহা ইসলাম ও স্কুলছাত্রী হাফসা ইসলাম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেরুননেছা লিপি ও আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর ছোট মেয়ে হাফসা ইসলাম মারা যায়।
এই ঘটনার পর মেহেরুননেসার বড় মেয়ে ফারহা ইসলামকে ঢাকায় তাঁদের আত্মীয়ের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। মেহেরুননেছার শ্বশুর আবুল কাশেম আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে মেহেরুননেসা লিপি ও হাফসা ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য তাদের নিজ এলাকা চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট চত্তরিয়া গ্রামে নেওয়া হবে।
মেহেরুননেছার শ্বশুর আবুল কাশেম জানান, তাঁর ছেলে আবুধাবী প্রবাসী। পুত্রবধূ মেহেরুননেছা, দুই নাতনি ফারহা ইসলাম ও হাফসা ইসলামকে নিয়ে তিনি দুই বছর ধরে ফেনী শহরের সফিক ম্যানশনের পঞ্চম তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। বিস্ফোরণে তাঁর দুই নাতনি ও পুত্রবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার রাতে বিকট শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখা যায় সফিক ম্যানশনে আগুন জ্বলছে৷ পরে স্থানীয়রা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিস্ফোরণে ভবনের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার কয়েকটি কক্ষ আগুনে পুড়ে যায়। এ ছাড়া জানালার গ্লাস ও দরজা ভেঙে যায়। বিস্ফোরণ ও আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়৷ ওই দিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ও জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নুরুন্নবী।