ঘরে থাকাই একমাত্র দাওয়াই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে করনোভাইরাস সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে হোম কোয়ারেন্টিন (নিজ গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থান) একমাত্র কার্যকর উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
‘দেশে প্রত্যাগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় বিদেশ প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা অতি জরুরি।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় জাতীয়, বিভাগীয়, সিটি করপোরেশন এলাকায়, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে।’
‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ব্যক্তিরা ১৪ দিন ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং নিজ বাড়ির নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থান করবেন। পরিবারের অন্যা সদস্যরা দেশে প্রত্যাগত সদস্যের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবেন।
কমিটির সদস্যরা বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের বাড়ি চিহ্নিত করবেন এবং তাদের গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থানের বিষয়ে তদারকি করবেন।
কমিটি সদস্যরা হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারী, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবেন।
কোয়ারেন্টিন থাকা ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারবেন না। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি নিয়ম ভঙ্গ করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তা গ্রহণ করবেন।
প্রয়োজনে কমিটির সদস্যরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ব্যক্তিরা অসুস্থ হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা নিয়ম ভঙ্গ করলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।