চট্টগ্রাম উপকূলের প্রায় ৮৮ হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকায় সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৮৮ হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
এনডিসি তৌহিদুল বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর থেকেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রুখতে কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। গতকাল দিনভর উপকূলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করা হয়। এছাড়া রাতে জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণের অনুরোধ করা হয়। শনিবার সকাল থেকে বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন।”
এনডিসি মো. তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, “শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার আনুমানিক ৮৮ হাজার বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। রাতে খাবারে তাদের খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে।”
জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোখাকে ঘিরে পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৫৩০টি স্থায়ী ও ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় ও ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় আট হাজার ৮৮০ জন সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আট হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসকে। মেডিকেল টিমসহ প্রস্তুত আছে নেভি ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী বোটও। এছাড়াও শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দিনভর জেলার উপকূলীয় ও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে নেওয়ার কাজ করে জেলা প্রশাসন।