চলে গেলেন কথাসাহিত্যিক, গবেষক বশীর আলহেলাল
কথাসাহিত্যিক, গবেষক, বাংলা একাডেমির ফেলো ও সাবেক পরিচালক বশীর আলহেলাল আজ মঙ্গলবার মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বাংলা একাডেমি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বশীর আলহেলালের মরদেহ আজ বিকেল ৫টায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। সেখানে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
বশীর আলহেলাল ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তালিবপুর, জলপাইগুড়ি, রাজশাহী এবং কলকাতাতে শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পেশাজীবনে কিছুকাল কলকাতায় সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন।
১৯৬৭ সালের ৯ জুলাই বশীর আলহেলাল বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। বাংলা একাডেমির বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন শেষে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগ থেকে ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
বশীর আলহেলাল একাধারে কথাসাহিত্যিক, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক-গবেষক ও অনুবাদক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে—কালো ইলিশ, আনারসের হাসি, কাণ্ডারী, কিশোর বাংলা উচ্চারণ মঞ্জরি, বাংলা ভাষার নানান বিবেচনা, বাংলা গদ্য, আমাদের কবিতা, ভাষা আন্দোলনের সেই মোহনায়, প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ, বেলগ্রেডের ডাক, তাঁদের সৃষ্টির পথ, আমাদের বিদ্বৎসমাজ, ঘৃতকুমারী, জীবনের সুখ, শেষ পানপাত্র, নূরজাহানদের মধুমাস, শিশিরের দেশে অভিযান।
বশীর আলহেলাল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা একাডেমির ইতিহাস গ্রন্থের লেখক। এ ছাড়া মূল উর্দু থেকে অনুবাদ করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা সম্পর্কে হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট।
সাহিত্যে অবদানের জন্য বশীর আলহেলাল আলাওল সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।