চাঁদাবাজির মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক নেতা কারাগারে
পাবনায় চাঁদাবাজির মামলায় জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাকিরুল ইসলাম রনিকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের শালগাড়িয়া সদর থানা ফাঁড়ির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শেখ সাকিরুল ইসলাম রনি শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার বিকে রোডের মো. সুলতান শেখের ছেলে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা জানান, শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার মৃত খায়রুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. ছাবেরা সুলতানা (৬০) ২০০৩ সালে বিদেশ চলে যান। শহরের মধ্যে তাঁর ওয়ারিশানদের ১৪ কাঠা জমি রয়েছে। ওই জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে শেখ সাকিরুল ইসলাম রনিসহ অন্যরা নিজেদের দাবি করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করে আসছিলেন। গতকাল সোমবার জমির ওয়ারিশরা ওই জমির ওপর নিজেদের নামের সাইন বোর্ড টানিয়ে দেন। এ খবর জানার পর আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শেখ রনিসহ পাঁচ-ছয় জন ওই জমির ওপর গিয়ে সাইনবোর্ড ভাঙচুর এবং ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ বিষয়ে আজ দুপুরে ছাবেরা সুলতানার বোনের ছেলে মো. সোহেল আহম্মেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী ছাবেরা সুলতানার বোনের ছেলে মো. সোহেল আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শেখ রনি ভুয়া কাগজ তৈরি করে আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা জমির ওপর মালিকানার সাইন বোর্ড দিলে ক্ষিপ্ত হন এবং সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় নানা হুমকি-ধমকিও দেন।’
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মতুর্জা বিশ্বাস সনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শেখ সাকিরুল ইসলাম রনির সঙ্গে এখন যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হাসান খান নিখিল এক চিঠিতে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেন।