চিকিৎসা সরঞ্জামসহ যেসব পণ্যের দাম কমছে
প্রস্তাবিত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে চিকিৎসা সরঞ্জামসহ জনস্বার্থে এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কিছু পণ্যে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমবে।
যেসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে সেসবের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষিযন্ত্র ও যন্ত্রাংশ, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাস্ক, পিপিই, গ্লাভস, গগলস, নানা ধরনের রাসায়নিক পণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে সব ধরনের কর মওকুফ করা হয়েছে।
ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। করোনাভাইরাস শনাক্তে কিট উৎপাদনের কাঁচামাল, হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউসহ জরুরি সেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হবে। ভেন্টিলেটর উৎপাদনে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে গবেষণা ও উৎপাদনে আরো আকৃষ্ট করতে এ সংক্রান্ত যন্ত্রাংশে বিশেষ শুল্ক ও ভ্যাট ছাড় থাকছে বাজেটে। তাই এসব পণ্যের দাম কমবে।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ক্ষুদ্র শিল্পের কাঁচামালে অগ্রিম কর কমবে। ফলে ক্ষুদ্র শিল্পের পণ্যের দাম কমতে পারে। শুল্ক ছাড়ের ফলে কমতে পারে পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণে ব্যবহৃত উপকরণের দাম।
আরো যেসব পণ্য ও সেবার দাম কমবে : চার্জার কানেকটর পিন, ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত ৪৩টি উপকরণের দাম, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, লিফট প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সব উপকরণ, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ, কমপ্রেসর প্রস্তুতকারী শিল্পে ব্যবহৃত আমদানি করা সব উপকরণ, জুতা শিল্পের বিভিন্ন উপকরণ, পাউরুটি, বিস্কুট ও কেক, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি।
স্বর্ণের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কারণে তুলা বীজ, পাম নাটস, রেফ্রিজারেটর শিল্পের স্টিল প্লেটের দামও কমছে। বজ্রপাত থেকে প্রতিরক্ষাকারী পণ্য লাইটিং অ্যারেস্টারের আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাবে এ পণ্যের দাম কমতে পারে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। সংকটের মধ্যে বিশাল অঙ্কের বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে তিন লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা।
প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক হচ্ছে না। বরং সরকারের অতীতের অর্জন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এই বাজেটে সঙ্গত কারণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে স্বাস্থ্য খাত। পাশাপাশি কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং নতুন কর্মসংস্থান তৈরির প্রতি দেওয়া হচ্ছে অগ্রাধিকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এসব অগ্রাধিকার খাতের পাশাপাশি বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন প্রস্তাব থাকবে। ২০০৯ সাল থেকে একাধিক্রমে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এটি হচ্ছে দ্বিতীয় বাজেট।
করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট অধিবেশনে মিডিয়া কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নেই।