চীনফেরত নারী নির্দেশ মানেননি, প্রতিরোধের মুখে পরিবারসহ কোয়ারেন্টিনে
বান্দরবানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনফেরত এক নারীসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে তাদের সদর হাসপাতালের একটি কক্ষে আলাদাভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. প্রত্যুষ পাল।
এরা হলেন- সদর উপজেলার গুংরু আগা খেয়াং পাড়ার এনজেলিনা খেয়াং এবং তার পরিবারের চার সদস্য।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, ‘চলতি মাসের ১৫ মার্চ চীনের ম্যাকাও শহর থেকে বাংলাদেশে আসেন এনজেলিনা খেয়াং। চীন থেকে ফিরে তিনি বান্দরবান আসছিলেন। শহরের প্রবেশদ্বার রেইছা চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মেয়েটিকে শনাক্ত করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। তখন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাঁকে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকার কথা বলেছিলেন।
কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টিন মানেনি। তাই গ্রামবাসীর প্রতিরোধে প্রশাসন, পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকেসহ পরিবারের পাঁচজনকে সদর হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এনে রাখা হয়েছে। তারা কেউই অসুস্থ নয়। তারপরও সবার নিরাপত্তার স্বার্থে চীনফেরত নারীসহ পরিবারের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে এনে রাখা হয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বান্দরবান সদর হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী নবনির্মিত নার্সিং কলেজে ১০০ জনের জন্য আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। নার্সিং কলেজের একটি অংশে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও প্রয়োজনীয় কোনো সরঞ্জাম নেই। কোনোরকমে ১০টি বিছানা প্রস্তুত করা হয়েছে। দায়িত্বরত দুজন চিকিৎসক এবং সদর হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ, নার্স বিছানাগুলো প্রস্তুত করছেন। অপরদিকে জেলার লামা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায়ও চীন, হংকক ফেরত আরো কয়েকজন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. প্রত্যুষ পাল বলেন, ‘চীনফেরত নারীসহ পরিবারের পাঁচজনকে আলাদা একটি কক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের খাবার সামগ্রী খেয়াং কমিউনিটি সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে। তারপরও হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট খোলা হলেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। এরমধ্যে আমিসহ সদর হাসপাতালের দুজন করোনাভাইরাসবিষয়ক ট্রেনিং করে এসেছি ঢাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে।’