চুরি হওয়ার পর জীবিত ও মৃত দুই নবজাতক উদ্ধার, আটক ৫
সিরাজগঞ্জে চুরি হওয়া দুই নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একটি নবজাতককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। সলঙ্গা থানাধীন হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আলোকদিয়ার গ্রামের মৃত সোলাইমানের বাড়ি থেকে গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এর মধ্যে গতকাল শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে এক নবজাতক ও গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে আরেক নবজাতক চুরি হয়।
আটক পাঁচজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, আলপনা খাতুন নামের ওই নারী ঘটনার মূলহোতা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আলোকদিয়ার গ্রামের বাসিন্দা।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাটিকুমরুল ইউনিয়নের আলোকদিয়ার গ্রামের মৃত সোলাইমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার দুই শিশুর মধ্যে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুকে মৃত এবং হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি শিশু চুরির ঘটনায় একই ব্যক্তিরা জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসববেদনা নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি হন তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের সাবিতা খাতুন। বেলা ১১টার দিকে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শিশুর নাম রাখা হয় সামিউল। নবজাতকটি সাবিতা খাতুন ও আব্দুল মাজেদ দম্পতির প্রথম সন্তান। সিজারের পর শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয় মা ও নবজাতককে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বিকেলে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই শিশুকে নিয়ে সটকে পড়েন এক নারী।
অপরদিকে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিনের শিশু মাহিম চুরি হয়।