চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চায় জুয়েলার্স সমিতি
দেশে চলমান ডলার সংকট ও অর্থপাচারের সঙ্গে সোনা চোরাচালানের সিন্ডিকেট সোনার বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রায় প্রতি সপ্তাহেই সোনার দাম বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতার নেপথ্যে জড়িত চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কাস্টমসসহ দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করছে জুয়েলার্স সমিতি।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি, মার্কিন ডলারের মাত্রাতিরিক্ত দাম ও সংকটসহ অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং অব্যাহতভাবে বেপরোয়া চোরাচালানের ফলে বহুমুখী সংকটে পড়েছে দেশের জুয়েলারি শিল্প। চলমান পরিস্থিতিতে সোনার বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে দিয়েছে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হচ্ছে। মূলত এই চোরাকারবারিদের একাধিক সিন্ডিকেট বিদেশে সোনা পাচারে জড়িত বলে মনে করা হয়।
তিনি বলেন, অবৈধ উপায়ে কোনও চোরাকারবারি যেন সোনা বা অলংকার দেশে আনতে এবং বিদেশে পাচার করতে না পারে সে জন্য সরকারের সব সংস্থাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি। এছাড়া চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট পরিমাণের ২৫ শতাংশ সংস্থার সদস্যদের পুরস্কার হিসেবে প্রদানের অনুরোধ করছি। মূলত চোরাচালান প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাজুসের এই প্রস্তাবনা।
এদিকে গত ৭ আগস্ট থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা। ফলে ৭ আগস্ট থেকে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৩১ টাকা, যা ৬ আগস্ট পর্যন্ত ছিল ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা। এ নিয়ে দেশের বাজারে ১০ দিনের ব্যবধানে চার দফা সোনার দাম বাড়ল। এর আগে ৩ আগস্ট সোনার দাম বাড়ানো হয়, যা ৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়। এর এক সপ্তাহ আগে ২৮ জুলাই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ২৯ জুলাই থেকে কার্যকর করা হয়। তারও আগে একদিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়। অর্থাৎ ২৬ জুলাই সোনার দাম বাড়ানো হয়, যা ২৭ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।