চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সব সেনা সদস্যদের একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ১১ পদাতিক ডিভিশন এবং ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের দায়িত্বপূর্ণ শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ নির্দেশ দেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শনের সময় সেনাবাহিনী প্রধান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি দেশে গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে সুখ্যাতি ও প্রভূত সুনাম অর্জন করেছে।’
সেনাপ্রধান সৈনিকদের মনোবল উন্নত রেখে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া মেজর জেনারেল মো. খালেদ-আল-মামুন, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ডুগডুগিরহাট এলাকা এবং ফুলবাড়ী উপজেলার চকচকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১ হাজার ৮০০টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুস্থ ও গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা যেমন— ডায়াবেটিস, হাইপার টেনশন, সংক্রমিত চর্মরোগ, বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগ, গর্ভবতী-প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসাসেবা ও বিশেষ পরামর্শ প্রদান করছে এবং অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দিয়ে চোখের ছানি, চালসে ও দীর্ঘ দৃষ্টি ইত্যাদি রোগের চিকিৎসাসেবা এবং বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিনামূল্যে কৃষক বান্ধব ভেটেরিনারি সেবা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির বিনামূল্যে টিকা এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি খামারিদের গবাদিপশু পালন, ব্যবস্থাপনা ও খামার স্থাপন সংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছে। সেবামূলক এই ক্যাম্পেইনটি খামারিদের মধ্যে গবাদিপশু পালনে উৎসাহের সৃষ্টি এবং বেসামরিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।