সাধারণ মানুষের কল্যাণে পুলিশের সব সদস্যের ত্যাগ ও মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘জনগণের কল্যাণে সেবার এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের সাধারণ জনগণ ও গুণীজনদের যে অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও প্রশংসা পুলিশ পাচ্ছে তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মানুষের কল্যাণে পুলিশকে কাজ করে যেতে হবে।’

আজ রোববার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সব পুলিশ ইউনিটের কমান্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আইজিপি। সে সময় নানা বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কোনো ধরনের অনিয়ম, অপেশাদার আচরণ ও অসদুপায়কে বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কালোবাজারি ও মজুদদারি রোধে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পণ্যবাহী ট্রাক বা বাহনগুলো পণ্য পৌঁছে দিয়ে ফেরার সময় যেন কোনো পর্যায়েই হয়রানির শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’

আইজিপি বলেন, ‘পাশাপাশি করোনার বিস্তার রোধে লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে পুলিশের কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে হবে।’

আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা প্রদানের সব ব্যবস্থা রয়েছে উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ পুলিশের অন্য হাসপাতালগুলোতে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া, বিভাগীয় পর্যায়েও নেওয়া হয়েছে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা। করোনায় আক্রান্ত পুলিশের যেকোনো সদস্যের সুচিকিৎসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত আয়োজন রাখা হয়েছে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে যারা আত্মনিয়োগ করেছেন তাদের প্রতি এ দেশের মানুষেরও অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।’

আইজিপি বলেন, ‘দায়িত্বপালনরত সব পুলিশ সদস্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা বিভিন্ন ইউনিটেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।’