জমির দলিল চুরি করতে মা-বাবাকে হত্যা, ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মা-বাবাকে খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বড় ছেলে আব্দুল মতিন মিঠুকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার দুই সহযোগী রাজন মিয়া (২৫) এবং উজ্জ্বল হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড় ও নবাবগঞ্জের দাউদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার নির্শা কাজলদীঘি গ্রামের হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এরপর ডাকাতরা গৃহকর্তা হাফিজুর রহমান (৭৫) এবং তাঁর স্ত্রী ফেন্সীআরাকে খুন করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাফিজুরের ছোট ছেলে আব্দুল মালেক (২৩) বাদী থানায় খুনসহ ডাকাতির মামলা করেন। এই খুনের সূত্রধরে গতকাল বুধবার নবাবগঞ্জ থানা পুলিশসহ পুলিশের একাধিক টিম খুনের মোটিভ উদঘাটনে সমর্থ হয়। তারা নিহত হাফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল মতিন মিঠুকে নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক তদন্ত করলে খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রাজন মিয়াকে দিনাজপুর সরকারি কলেজ মোড় এবং উজ্জ্বল হোসেনকে নবাবগঞ্জের দাউদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে, মামলার ঘটনাটি উদঘাটিত হয় এবং আব্দুল মতিন মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মিঠু পুলিশকে জানিয়েছেন তার বাবার হেফাজতে থাকা জমির দলিল চুরি করার জন্য তার ফুপাতো ভাই সুলতান মাহমুদের সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। তখন সুলতান তাকে বলেন তার বাবার কাছে থাকা জমির দলিল তাকে এনে দেবে এবং বিনিময়ে বাড়িতে থাকা টাকা তিন নেবেন। এই শর্তে মিঠু রাজি হলে সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সুলতান তার সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার হাফিজুরের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে সুলতান আবার বাড়ির প্রাচীর টপকে প্রবেশ করে। এরপর তারা ডাকাতির প্রাক্কালে গৃহকর্তা হাফিজুরকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রথমে তাকে হত্যা করে এবং পরে তার স্ত্রী ফেন্সিআরাকেও হত্যা করে। পরে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যে যার মতো চলে যায়।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যরা অচিরেই গ্রেপ্তার হবে বলে জানান ওসি।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃত অপর দুই ব্যক্তি হলেন নবাবগঞ্জ উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের রাজন এবং একই গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন।