জাল পাসপোর্ট-ভিসা ও মানব পাচারে জড়িত অভিযোগে আটক ১
জাল পাসপোর্ট ও ভিসা তৈরির সঙ্গে জড়িতে থাকার অভিযোগে মাসুম আহমেদ (৩১) নামের আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারীচক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে সিলেটের মজুমদারপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক মাসুম ওই এলাকার মো. আতাউর রহমানের ছেলে।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক মাসুম আহমেদের বিরুদ্ধে তুরস্ক, ক্যামেরুনসহ বিভিন্ন দেশের জাল পাসপোর্ট তৈরি ও মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর এসব তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কাছে আসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মাছুম আহমেদকে দীর্ঘদিন ধরে র্যাব ও এনএসআই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে। পরে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায়। এনএসআই ও র্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা মাছুমকে সিলেটের মজুমদারপাড়া থেকে আজ আটক করে।
র্যাব কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, ‘মাছুম বাংলাদেশ, তুর্কি, ক্যামেরুনে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশের নকল পাসপোর্ট তৈরি করে থাকেন। স্প্যানিশ পাসপোর্ট বানিয়ে দুই হাজার ইউরো করে বিক্রি করতেন। বিভিন্ন দেশের ভিসার নকল স্টিকার বানিয়ে ভুয়া ভিসা দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানব পাচার করতেন।
ওই র্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, মাছুম সাধারণত জার্মান, নিউজিল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, ইতালি, গ্রিস, মালয়েশিয়া, কানাডায় মানবপাচার করে থাকেন। এসব যাত্রীকে নেপাল, তুর্কি, দুবাই, দিল্লি, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া দিয়ে পাঠিয়ে থাকেন। মানব পাচারে জড়িত মাসুমের সহযোগীরা হলেন দেলোয়ার, মাহি, জুনেল, আল-আমিন ও আনোয়ার।
র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, সিলেটের জিন্দাবাজারের মিলেনিয়াম মার্কেটের নিচতলায় ‘আল-আমানাহ ইন্টারন্যাশনাল’ ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের চেয়ারম্যান ও সিইও জুনেল আহমেদ। তাঁকে দিয়েই মাছুম ভিসা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। জুনেল আহমেদ সিলেট মিলেনিয়াম শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ।
আটককৃত মাসুমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করা হবে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।