জিয়াউর রহমানের যে কৃতিত্ব তা কোনো নেতার নেই
মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে ও ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যে কৃতিত্ব, ক্ষমতাসীন দলের অতীত ও বর্তমান কোনো নেতার সেই কৃতিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তাঁরা বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শহীদ জিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে তুলনা করার মতো এদেশে এখনও কোনো নেতার জন্ম হয়নি। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ উল্লেখ করে তা ফিরিয়ে আনতে তরুণ ও যুবকদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতারা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল আলোচনায় দলের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় ওঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্ন থেকে শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের বীরত্ব। তাঁরা বলেন, অসীম সাহসিকতার জন্যই তিনি পেরেছিলেন বেতারে যুদ্ধের ঘোষণা দিতে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জিয়াউর রহমানের এসব কৃতিত্ব নিয়ে খুবই ঈর্ষাকাতর। এ কারণেই তারা বানোয়াট ইতিহাস সৃষ্টি করে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে চায়।
সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে এত ভয় পায় কেন? কেন ভয় পায় সরকার জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদেরকে। কারণ, ২৫ মার্চ কালরাতে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। আওয়ামী লীগের সদস্য বা নেতা বিদ্রোহ করেছিলেন, স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন- তা কেউ শুনেছিলেন? সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন প্রথম? জিয়াউর রহমান। জেড ফোর্সের প্রথম কমান্ডার কে ছিলেন? জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগ এমন কাউকে দেখাতে পারবে না, আওয়ামী লীগের অতীত বা বর্তমান নেতা এই তিনটি কাজ তাঁরা কেউ শুরু করেছেন।’
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যারা বিতর্কিত করতে চান, তারা যুদ্ধ করেন নাই। যারা যুদ্ধের গল্প শুনেছেন সেই গল্পের নায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আজকে যারা দেশ চালায় তারা মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছেন। মুক্তিযুদ্ধ তো তারা কেউ করেনি। বরং মুক্তিযুদ্ধের কৃতিত্ব উনারা ছিনতাই করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন দল এর আগেও গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, অতীতে জিয়াউর রহমানের ডাকে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল বর্তমানে সেই আদর্শের ডাকেই তরুণ যুবকদের শপথ নিতে হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমার আবেদন আজকে তরুণদের কাছে, আমার আবেদন আজকে যুবকদের কাছে, আসুন আমরা সবাই সংগঠিত হই। এবং এই দিনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে এই শপথ গ্রহণ করি, আমাদের দেশমাতা, আমাদের গণতন্ত্রের মাতা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করব। আমরা সর্তিকার অর্থেই একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, একটি উদার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আমরা এখানে নির্মাণ করব।
বিএনপি নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীনের পর থেকে ’৭৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকলেও তারা একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকের প্রচলন করতে পারেনি। জাতীয় এই দুটি পুরস্কারের সূচনাও করেছিলেন জিয়াউর রহমান।