জয়পুরহাট জেলা লকডাউন, বন্ধ হয়নি অবাধ চলাচল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/04/09/joypurhat.jpg)
প্রথমবারের মতো জয়পুরহাটে দুজনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত (পজিটিভ) হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে জেলা প্রশাসন পুরো জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু ঠিকঠাক মতো লকডাউন মানা হচ্ছে না। সব চলছে যেন স্বাভাবিকভাবে আগের মতো। সকাল থেকে অবাধে মানুষজন ঘরের বাইরে চলাচল করছে।
জয়পুরহাট জেলা শহরের মাছুয়া বাজার, রেলগেটের ফল মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু দোকানপাট খোলা ও ক্রেতাবিক্রেতাদের ভিড় করে বেচাকেনা করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও সকাল থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র জয়পুরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে যথারীতি বসেছে কাঁচাবাজার। সেখানে স্বাভাবিকভাবে আগের মতো বেচাকেনা হয়েছে। আজ শুক্রবার হওয়ায় এ সব বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
করোনা প্রতিরোধে যেখানে সামাজিক বা শারীরিক (নিরাপদ) দূরত্ব মানা সবচেয়ে জরুরি, সেখানে এ ধরনের বাজারে তা একেবারেই মানা হচ্ছে না। আজ সকাল ১০টায় এ বিষয়ে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করার সময় জয়পুরহাট শহরের বিভিন্ন স্থানে মানুষজনের চলাফেরা ও দোকানপাটে বেচাকেনার চিত্র দেখে এ জেলায় যে ‘লকডাউন’ চলছে তা মনেই হয়নি।
এদিকে জয়পুরহাটে প্রথমবারের মতো দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের একজনের বয়স ২২ ও অপরজনের বয়স ৪৭ বছর। তাঁরা জেলার কালাই উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামের একই পরিবারের সদস্য। সম্প্রতি এ দুজন নারায়ণগঞ্জ থেকে কালাইয়ে নিজ গ্রামে ফিরে এলে তাদের দুজনকে নিজ বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখান থেকে এ দুজনকে পাশের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো ২৩ জনের নমুনার রিপোর্ট এসেছে। তার মধ্যে এ দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।