ঝিনাইদহে করোনায় পুলিশসহ ৪ জনের মৃত্যু
ঝিনাইদহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউনের পক্ষে মত দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক পুলিশ সদস্যসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত পুলিশ সদস্যের নাম মো. মশিউর রহমান (৪০)। তিনি মাগুরা সদর উপজেলার স্টেডিয়াম পাড়ার মৃত মোকসেদ আলীর ছেলে। মশিউর কালীগঞ্জ উপজেলার তত্ত্বীপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৭ জুন তিনি করোনা নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান বলে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।
সোমবার ২০৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ঝিনাইদহ জেলার সব উপজেলায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। সীমান্তবর্তী মহেশপুরের অবস্থা প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। জ্বর, কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জামির মো. হাসিদুস সাত্তার।
এদিকে আজ সকাল থেকে জেলা শহরে প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা জনসাধারণকে বিধিনিষেধ মানতে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এতে জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় জনসমাগম অন্য দিনের তুলনায় কম ছিল। অন্যান্য উপজেলা শহরের চিত্র আরও খারাপ। সেখানে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
গত শনিবার থেকে সব উপজেলায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা প্রশাসন। প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসন থেকে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, পরিস্থিতির কোনো উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। করোনার রোগীর চাপে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সদর হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ৫০ জনকে। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।