টঙ্গী সেতুর সংস্কার কাজ শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের তুরাগ নদের উপরে শতবর্ষী সেতুটির ধসে পড়া অংশের সংস্কার কাজ আজ রোববার সকাল থেকে শুরু করেছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) কর্তৃপক্ষ। সকালে সেতুটি পরির্দশনে এসে বিআরটি প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআরটি প্রকল্প পরিচালক মহিরুল ইসলাম ১০-১২ দিনের মধ্যে সেতুটির সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে টঙ্গী বাজারের পাশে তুরাগ নদের উপর ঢাকায় প্রবেশের পুরোনো সেতুর পাটাতন ধসে পড়ে। পরে লোহার পাটাতন দিয়ে সাময়িকভাবে যান চলাচল সচল রাখা হয়। বিআরটি কর্তৃপক্ষ সেতুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানায়। পরে গত বুধবার রাত ১টা থেকে ওই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে সৃষ্টি হয় যানজটের। স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা-টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই যানজট তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানজট। তবে সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষের চাপে সন্ধ্যার পর যানজট ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আর সেই যানজটের ধারাবাহিকতা ছিল ছুটির দিন শুক্রবারও। ওই দিন ভোর থেকে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বাড়তে থাকে, আর বাড়তে থাকে যানজটও। ফলে মহাসড়কে জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কে দিনভর যান চলাচলে ধীরগতি দেখা দেয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগের দক্ষিণ জোনের পুলিশ পরির্দশক শাহাদত হোসেন জানান, উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জেলার পরিবহণ টঙ্গীর বন্ধ হয়ে যাওয়া সেতু দিয়ে ঢাকা প্রবেশ করত। গত বৃহস্পতিবার থেকে আমরা ঢাকার গাড়িগুলো সরাসরি টঙ্গী বাজার এলাকার বেইলি সেতু দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করিয়েছি। আর গাজীপুরের গাড়িগুলো টঙ্গী মিলগেইট হয়ে কামারপাড়া সড়ক দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করিয়েছি। এর ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে দিনভর যানজট লেগে ছিল। তাই গত শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো সরাসরি টঙ্গী বাজার বেইলি সেতু দিয়ে ঢাকায় নিচ্ছি। আর ঢাকার গাড়িগুলো কামারপাড়া সড়ক দিয়ে গাজীপুরে প্রবেশ করাচ্ছি। এতে কিছুটা সুফল পাচ্ছি। এ ছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া বাইপাস সড়ক ব্যবহার করে যেসব পরিবহণ আব্দুল্লাহপুর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করত, সেসব পরিবহণ কামারপাড়া সেতু দিয়ে টঙ্গী হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। এ কারণে টঙ্গীতে পরিবহণের চাপ একটু বেশি। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানার পুলিশ সদস্যরাও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন।