ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা যে কারণে খারিজ
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। আজ সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, কুৎসিত ও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করায় গতকাল রোববার সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ কে এম সাইফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে সামাজিক ও ব্যক্তিগতভাবে অপমান, অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আসামিরা ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ নারী সমাজের প্রতি অবমাননাকর, অপমানজনক এবং আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এর ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, তিনটি কারণ দেখিয়ে বিচারক মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। এর একটি হলো যিনি মামলার আবেদন করেছেন, তিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর যে ভিডিও ক্লিপ বাদী আদালতে জমা দিয়েছেন, সেখানে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ব্যারিস্টার জাইমা রহমান আদালতে কোনো অভিযোগ করেননি।
দ্বিতীয়ত, বাদী দাবি করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আদালত বলেছেন, যে বক্তব্য নিয়ে মামলার আবেদন, তা গত ১ ডিসেম্বরের। এরপর কেটে গেছে কয়েকদিন। অথচ বাদী অভিযোগ নিয়ে থানায় যাননি। থানা মামলা না নিলে তিনি আদালতে এলে তা বিবেচনা করা যেত।
এ ছাড়া বাদীর দাবি, সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারা দেশে এ ধরনের একাধিক মামলা হয়েছে। ফলে একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের অশুভ লক্ষণ। এটি বন্ধ হওয়া দরকার।
এ তিনটি কারণ দেখিয়ে বিচারক মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা।