ঢাবির ছিন্নমূল মানুষ ও কুকুর-বিড়ালের দায়িত্ব নিলেন রাব্বানী
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও এর আবাসিক হলগুলো বন্ধ। সরকারের নির্দেশনায় খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের ছিন্নমূল মানুষ ও প্রাণিকুল। এ অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ক্যাম্পাস না খোলা পর্যন্ত সেখানকার সব কুকুর-বিড়ালের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া আজ রাতে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের কাছে তিন/চার দিনের খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেবেন।
আজ শুক্রবার গোলাম রাব্বানী তাঁর ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এমন ঘোষণা দেন। এ উদ্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী সুহৃদদের পাশে চেয়েছেন তিনি।
গোলাম রাব্বানীর স্ট্যাটাস এনটিভি অনলাইনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো :
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, আবাসিক হলগুলোও ভ্যাকেন্ট; পুরো ক্যাম্পাস জনমানবহীন শূন্য প্রায়। এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্যাম্পাস এলাকায় ফুল, চুড়ি, চকলেট বিক্রি করা, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা-অনুকম্পায় পেট চালানো ছিন্নমূল পথশিশু, ওদের পরিবার ও বয়বৃদ্ধ মানুষগুলো।
ফাঁকা ক্যাম্পাসে তাদের ইনকাম সোর্স নেই, যাওয়ার ও খাওয়ার জায়গা নেই। আশেপাশের বস্তিঘর, ফুটপাত, হাইকোর্ট মাজার এলাকায় বসে তীর্থের কাকের মতো কারো মানবিক সাহায্যের পথ চেয়ে আছে।
আর মহাবিপদে আছে ক্যাম্পাস এবং বিভিন্ন হল আঙ্গিনার স্থানীয় বাসিন্দা, শ'খানেক কুকুর বিড়াল। ওদের একটু খাবার দেয়ার যে কেউ নাই! ক্ষুধার্ত হলেও ওরা চিরচেনা এই গন্ডি ছেড়ে যাবে না। দু'একজন মহৎপ্রাণ শিক্ষার্থী মাঝে মধ্যে কিছু খাবার দিচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা ওদের জন্য কষ্টসাধ্য।
এসব ছিন্নমূল অসহায় মানুষ আর অবলা প্রাণী গুলোর পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আজ রাতে তিন/চার দিন খেতে পারে এমন খাদ্যসামগ্রী এই মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। এরপর প্রতি ৩/৪ দিন পর পর আবার।
আর প্রতিদিন ক্যাম্পাসের সকল কুকুর বিড়ালের খাবার নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ওরা আর অভুক্ত থাকবে নাহ। ক্যাম্পাস খোলার আগ পর্যন্ত এভাবে চলবে...
সুহৃদগণ, এ মহতী উদ্যোগে সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছি।”