তথ্য প্রতিমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে : সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক
নারী বিদ্বেষী, বর্ণবাদী, বিকৃত ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান তালুকদারের শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তিনি বলেছেন, ‘এ ঘটনায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ সোমবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘সংবিধানের ১৪৮ অনুচ্ছেদ মোতাবেক তৃতীয় তফসিলে বর্ণিত ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন-অনুযায়ী যথাবিহীত আচরণ করিব’ মর্মে মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি ক্রমাগতভাবে তার নানাবিধ মন্তব্য/কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তা ভঙ্গ করে চলেছেন। জাতি হিসেবে এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রতিমন্ত্রীর মতো একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে তার এসব অযাচিত মন্তব্য জাতি হিসেবে আমাদের কলঙ্কিত করেছে।’
কাজল আরও বলেন, ‘মুরাদ হাসান তালুকদার বিভিন্ন ব্যক্তি, বিশেষ করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে লাগামহীনভাবে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেই চলেছেন। তার এ ধরনের বক্তব্য দেশের নাগরিকের জন্য বিশেষ করে নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক চরম অবমাননাকর।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক বলেন, ‘তিনি অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ যে মন্তব্য করেছেন তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্যানেল থেকে নির্বাচিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।